আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল ম্যাচে ফান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা। প্রিয় দলের জয়ে ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জয়ের উল্লাস। সেই সাথে নৌপথেও দেখা মিলেছে ভক্তদের মধ্যে বাধঁভাঙা উচ্ছ্বাস।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কাতারে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনার। সেই খেলা উপভোগ করেছেন বরিশাল টু ঢাকামুখী বিভিন্ন লঞ্চের যাত্রীরা।
পারাবত ১৮ লঞ্চে ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল থেকে ঢাকা মুখী এই লঞ্চের মধ্যে দেখা মিলেছে এক উৎসবমুখর দৃশ্য। যাত্রীবাহি এই লঞ্চ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে খেলা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকেই উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। ”মেসি মেসি” করে ভক্তদের মধ্যে জয়ের উল্লাস প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রিয় দলের জয়ে আনন্দ র্যালিসহ স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো লঞ্চ জুড়ে। দলের জয়ে ভক্তরা আনন্দ ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে একাদিক ভক্তরা বলেন, ফাইনাল ম্যাচ ফাইনাল ম্যাচের মতোই হয়েছে। এমন জয় সত্যিই রোমাঞ্চকর ছিল। আমরা শতভাগ বিশ্বাসী ছিলাম পেনাল্টি ম্যাচ গড়ালে আমরাই জিতব কারণ আমাদের দলে বাজপাখির মতো মার্টিনেজ আছে।
ঢাকা মুখী লঞ্চের যাত্রী মো. সোহেল আহম্মেদ বলেন, একজন আর্জেন্টিনা সমর্থক হিসেবে এমন একটি শিরোফার জয় আমরা মেসির কাছ থেকে শুরু খেকেই প্রত্যাশা ছিল যা পূরণ হয়েছে। এতে সত্যিই আমরা আনন্দিত যা ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না।
খেলার প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার ২ গোলে স্বস্থির ছায়া নামে ভক্তদের মধ্যে তবে সেই ছায়া দ্বিতীয়ার্ধে এসে এক উত্তেজনাকর ম্যাচে পরিণত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের জোড়া গোলে সমতায় ফিরে ফ্রান্স। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে এক গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পরে এমবাপ্পের পেনাল্টি গোলে পুনরায় সমতায় ফিরে ফ্রান্স। পরে ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে ৪-২ গোলে জয় লাভ করেন আর্জেন্টিনা।
জয়ের আনন্দে কেঁদে দিয়ে মো. ইরমান বলেন, অবশেষে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর কষ্টের অবসান ঘটিয়েছে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। মেসি লাখো আর্জেন্টাইন ভক্তের স্বপ্ন সত্যি করেছেন। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হয়না। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যাত্রাপথে থাকার কারনে আমাদের প্রিয় মানুষের সাথে খেলা দেখার সুযোগ হয়নি তবে লঞ্চের যারা ছিলাম বেশির ভাগই আমরা আর্জেন্টিনা সমর্থক ছিলাম। সবাই অপরিচিত হলেও সেটা এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নাই। আমরা এক সাথে বসে খেলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে।