ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সদস্যের গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হলটিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ও হল প্রশাসন তদন্ত কমিটির সদস্যরা বৈঠকে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হলটির সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক। এ ঘটনায় অভিযোগ তদন্তে তিন কমিটি এরই মধ্যে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত উভয় ছাত্রীকে ডেকে তার বক্তব্য শুনেছে।
মুঠোফোনে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্ববায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল ও অন্যান্য সদস্যরা আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় আবাসিক হলটিতে প্রবেশ করেন। তারপর ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির সদস্যরা ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রবেশ করেছেন। তারা প্রভোস্ট অফিসে রয়েছে।
জানা যায়,রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর আনুষ্ঠানিক পত্র প্রেরণ করেন। অতঃপর এই বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা ও সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গত সপ্তাহের বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন।