ঢাকা২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ইবিতে সিনিয়র জুনিয়র কোন্দলে দু’পক্ষের মারামারি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গতকাল রাত ২ টায় ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হুজ্জাতুল্লাহ ভূইয়া কর্তৃক ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জহুরুল ইসলাম রিংকু নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত শনিবার (২৭ আগস্ট) হুজ্জাতুল্লাহ লুঙ্গি পড়ে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে দেখায় রিংকু তাকে বহিরাগত মনে করে নাম আর ডিপার্টমেন্টের পরিচয় জিজ্ঞেস করায় তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এর এক পর্যায়ে রিংকু হুজ্জাতুল্লাহকে চড় মারেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ২ টায় রিংকুকে একা পেয়ে ১২-১৫ জন শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান হলের লাইট বন্ধ করে রিংকুকে লাঠি-স্টাম্প দিয়ে মারধর করে জিয়াউর রহমান হলে পালিয়ে যায়। হুজ্জাতুল্লাহ ও আরবি ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিন এ ঘটনর সাথে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেন রিংকু।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ টার দিকে জুমার নামাজ শেষে আল-আমিন ও তার বন্ধুদের মারধর করে রিংকু ও তার হলের জুনিয়ররা। এ ঘটনায় প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা যায়।

পরবর্তীতে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আশিক নামের এক শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং এ খেতে গেলে তাকে মারধর করে বলে জানা যায়। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শুভ্র, অর্প এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুমন তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন।

জানা যায় তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, এটা ছাত্রলীগের কোনো ইস্যু না। সিনিয়র জুনিয়র কোন্দলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।