ঢাকা৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

খাওয়ার স্বাদ আছে কেনার সাধ্য নেই

সুদীপ্ত বিশ্বাস
মার্চ ৩০, ২০২৩ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চলছে রোজার মাস। রোজার মাসে আমাদের দেহে পুষ্টি চাহিদার একটি বড় অংশ ঘাটতি থেকে যায়।এই ঘাটতি পূরণের জন্য চাই পুষ্টিকর খাবার।

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির পুষ্টি চাহিদা তার দৈনিক পরিশ্রম ও দেহের ওজনের উপর নির্ভর করে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার জন্য মোট ক্যালরির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বিভিন্ন প্রকার কার্বোহাইড্রেট থেকে, ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্নেহ পদার্থ থেকে এবং ১৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রোটিন থেকে গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া আমাদের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে অবশ্যই দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
আমাদের মানব দেহে এই পুষ্টি চাহিদা পূরণে অনেকাংশে ভূমিকা রাখে দেশীয় ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস ইত্যাদি। রোজায় মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পুষ্টিকর খাবার এখন সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।বিশেষ করে মাছ মাংস এবং দেশীয় ফলমূল এর দাম দেশের শ্রমজীবী মানুষের নাগালের বাইরে।

গত অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। মাথাপিছু আয় এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই । যার কারনে বিশেষ করে রোজার মাসে পুষ্টি চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় দেশের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। রোজার প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৯০ টাকা এবং গরুর মাংস ৮০০ টাকা হয়ে গেছে। যার ফলে দেশের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় থাকছে না গরুর মাংস এবং মুরগির মাংস।এভাবেই শ্রমজীবী মানুষের একটি বড় অংশ তাদের পুষ্টি চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্য যেমন -চাল ডাল তেল চিনি লবণ ইত্যাদির লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ খুবই কষ্টে আছে। বিশেষ করে এই রোজার মাসে দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধিকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে আখ্যা দেওয়াই যায়। এই সময়ে আমাদের সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের এমন অবস্থা হয়েছে যে, কোন কিছু খাওয়ার স্বাদ থাকলেও তা আমাদের কেনার সাধ্য নাই।