ঢাকা২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ইবি শিক্ষক সমিতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
মার্চ ১৮, ২০২৩ ১০:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত অটল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গুচ্ছের কারণে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে প্রায় ছয় মাসের সেশন জটে পড়তে হয়েছে। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যারা গুচ্ছের বাইরে তাদের একই সেশনের শিক্ষার্থীদের একটা সেমিস্টার শেষ হয়ে গেছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির কারণে। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে এটা কখনো চাই না। এখনও পর্যন্ত আামাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। তিনি আরও বলেন, উপচার্য স্যারও শিক্ষকদের পক্ষে আছেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইবি শিক্ষকরা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেছেন, সমিতির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২১ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ইবি। পরবর্তীতে দেখা যায় সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে। ফলে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা করে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ইবি প্রশাসনের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতাসমূহ নিরসনের আশ্বাসে ইবি শিক্ষক সমিতি শর্ত সাপেক্ষে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টা মেনে নেন। কিন্তু ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা, ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রিতা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষকরাই তো ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তাদের উপেক্ষা করে আমার একার সিদ্ধান্তে তো কোন কাজ হবে না। তাদের সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।

জানাযায়, আগামীকাল (১৯ মার্চ) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনআয়তনে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়েছে। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকবে কি, থাকবে না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এবং বিশ্ববিদ্যালয় যদি নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তিতে অংশগ্রহণ করে তার নীতিমালা কি হবে সেটাও ঠিক করা হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য, সকল বিভাগের ডিন, সভাপতি এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় অর্ধশতাধিক আসন খালি রেখে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ভর্তির নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় মোট ১৩ টি মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেও পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পায়নি।