ঢাকা২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কুবি
নভেম্বর ১১, ২০২২ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাসে সিট রাখাকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। বুধবার (০৯ নভেম্বর) রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সাড়ে ৮টার বাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও তার বন্ধু ওয়াসিম আকরাম বাসে খাতা দিয়ে সিট রাখে।। পরে ছাত্রলীগ নেত্রী ফাইজা তাদের খাতা ফেলে দিয়ে নিজের ও বান্ধবির জন্য সিট দখল করে। পরে জাহাঙ্গীর ও তার সহপাঠী ব্যাগ ফেলে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ফাইজা জাহাঙ্গীরকে থাপ্পড় দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তবে ফাইজার দাবি এসময় জাহাঙ্গীর তাকেঁ হেনস্তা করে।
ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর বলেন, বাস ছাড়ার আগ মুহুর্তে আমি আমার বন্ধুর জন্য পাশে সিট রাখি। উনি (ফাইজা) এসে আমার খাতাটা সিট থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। তারপর আমার রাখা সিটে অন্যজনকে বসতে দেয়। আমি বলছি, আপনি যদি বলতেন আমি সিটটা দিতাম। কিন্তু উনি বলতেছে এরকম সিট রাখার কোন নিয়ম নাই। সে আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় মারে। আরেকবার থাপ্পড় মারতে আসলে আমি সরে যায়।
তবে ফাইজার দাবি তিনি অসুস্থ থাকায় সিটে বসে। তিনি আরও বলেন, বাসে সে (জাহাঙ্গীর) আমার সাথে অনেক বাজে বিহেভ করতেছিল। কিন্তু ওর (জাহাঙ্গীরের) গায়ে হাত দেই নাই। সে কথা বলার এক পর্যায়ে তার ব্যবহার এমন ছিল যে, সে আমার গায়ে হাত দিবে। সেটা আমি একজন মেয়ে হিসেবে পছন্দ হয় নাই। আমি তার ভাষায় তাকে জবাব দিসি, সেটা তার গায়ে লাগছে। সে বলছে, আমি নাকি মেয়ে তাই ছেড়ে দিসে। সে এবং তার বন্ধুরা মিলে এমন বাজে বিহেভ করছে যার কারণে আমি মানসিকভাবে বিরক্ত ফিল করেছি।
ফাইজার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, উনার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় দেয়। পরে আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আবারও থাপ্পড় মারতে আসলে আমি তার হাত ধরে ফেলি। বাসের সবাই দেখেছে কে কি করেছে। তিনি যেহেতু বাসে আমাকে সবার সামনে শারিরীকভাবে হেনস্তা করেছে। এখন আমি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিব।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমি তো কমিটির বিষয় নিয়ে ঢাকায় আছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে যে দোষী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।