জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মদবাহী এম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত্যু ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা দেড়টাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আবু রায়হান কবির রাসেলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রাহমান বলেন, “এটা কোনো দুর্ঘটনা নয় এটা খুন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি ভোক্তভোগী পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভুক্তভোগী পরিবারের ফরহাদ বলেন, ” আমার সাথে এখন ও কেউ দেখা করেনি। আমার বোনের বাচ্চা মারা গেছে। তাছাড়া এ পর্যন্ত তাদের পিছনে ৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে,।এখনো ও তারা আশঙ্কাজনক। ”
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অর্ণব বলেন, ‘আমরা মেডিকেল এম্বুলেন্স সংকট নিয়ে এত দিন কথা বলে আসছি কিন্তু কিভাবে সেই এম্বুলেন্স ব্যবহার করে মদ আনা হয় এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনকে দিতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য শারমিন আক্তার বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স যাদের কাজ সেবা দেওয়া কিন্তু তার এর পরিবর্তে এম্বুলেন্সে করে মাদক দ্রব্য বহন করছে। অপরদিকে আপনারা জানেন যেকোনো সাধারন শিক্ষার্থী এবং তার সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গ অসুস্থ্য হলেও সময়মত এম্বুলেন্স পাওয়া যায় না, সে সময় তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখায়।এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ভুগান্তিতে পরতে হচ্ছে। আর সেই এম্বুলেন্স ব্যবহার করে কিভাবে মদ আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা হলের রিইউনিয়নকে কেন্দ্র করে ২৫ জানুয়ারি মদ আনার সময় এম্বুলেন্সের ধাক্কায় ১ জন রিক্সাচালক ও অনাগত এক শিশু মাতৃগর্ভেই মারা যায় এবং ৪ জন আহত হয়। ভুক্তভোগী পরিবার প্রসাশনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলে ও প্রসাশন তাদেরকে সহযোগিতা করেনি।