ঢাকা৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সব খবর

“টঙের গান” এর সাক্ষাৎকার

রিয়াজ আহমেদ
মার্চ ২৮, ২০২৩ ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চায়ের আড্ডায় সম্প্রীতির গান নাম দিয়েছে তাই “টঙের গান”

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর এর কয়েকটি গানের দলের মধ্যে টঙের গান একটি। যেটা খুব অল্প সময়ে ক্যাম্পাসে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের কে গান করতে দেখা যায়। এছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরেও তারা গান করে খুব সুনাম অর্জন করেছে।ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে তাদের সৃষ্টিশীলতার কথা ছড়িয়ে গেছে দেশময়। সম্প্রতি তারা অর্জন করেছে ইউএনডিপি আয়োজিত ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ-২০২২’-এর চ্যাম্পিয়নের মুকুট। আজ আমরা কথা বলব বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত ব্যান্ড টঙের গান এর সাথে। আমাদের সাথে আছেন টঙের গানের লিড ভোকালিস্ট ও প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান আবির।

টঙের গান এর যাত্রা কিভাবে শুরু ?

মূলত টঙ দোকানে বসে চায়ের আড্ডায় গান করার চিন্তাধারা শুরু,টঙ দোকানে বসে গান করতে করতে প্রথমে ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলি। তারপর কয়েকজন মিলে একটা গ্রুপ করে “টঙের গান” নামে লোকগান ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করি।

অন্যসব গানের মধ্যে কেন আপনারা লোকসংগীত বেছে নিলেন?

লোকসংগীত মূলত বাংলাদেশের সংগীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলাদেশের নিজস্ব সংগীত। লোকগান মাটি,মানুষের গান খুব সহজেই মানুষের হৃদয় আকর্ষণ করা যায় এই গানের মাধ্যমে।লোকসংগীত এর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা সুখ-দুঃখের কথা ফুটে ওঠে। এই কারণেই মুলত লোকগান বেছে নেয়া।

টঙের গান যেহেতু মাটি মানুষের গান করে,মানুষের সুখ দুঃখের কথা গানের মাধ্যমে প্রকাশ করে ফলে খুব দ্রুত টঙের গান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

“ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ”এ জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছেন, কেমন লাগছে?

আমরা ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জের রংপুর পর্বে আইডিয়া শেয়ারিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করি। এরপর সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকায় গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এতে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমাদের আইডিয়া ছিল, গানের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রচার করা। আমরা আমাদের এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখব

এই সফলতার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে?
এই সফলতার পেছনে আপনাদের সকলের এই অবদান রয়েছে বিশেষ করে যারা টঙের গান শুনে, টঙের গানকে ভালোবাসে। এছাড়াও টিম মেম্বাররা তো আছেই।

এমন কোন শিল্পী আছে যাকে নিজের আদর্শ মনে করেন?

সেরকম কোন শিল্পী নেই যাকে নিজের আদর্শ মনে করি। তবে যারা লোকগান করে তাদের গান শুনি।তাদের ভালো লাগে।এছাড়াও শেখার কোনো শেষ নেই, গুণী শিল্পীদের সৃষ্টি আমাদের জন্য প্রেরণা

একজন শিল্পীর জীবনে নিয়মানুবর্তিতা কতোটুকু প্রয়োজন?

শুধু শিল্পীদের ক্ষেত্রেই না, প্রত্যেক মানুষেরই নিয়মের সঙ্গে চলা উচিত। তবে এই পেশার সঙ্গে যারা আছেন তাদের সবসময় নিয়মকানুন মেনে চলা সম্ভব হয় না। কিন্তু, তারপরও যতোটুকু সম্ভব তা মেনে চলা প্রয়োজন।

গানের বাইরে “টঙের গান” আর কি করে?

গানের বাইরে টঙের গান বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছে। গত শীতকালে শীতবস্ত্র এবং বন্যার সময় ত্রাণসামগ্রী গরীব ও দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি।এটা মুলত আমরা বিভিন্ন জায়গায় পথ সংগীত করেই অর্থ সংগ্রহ করেছি।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের কোন বন্ধু/বান্ধবী ,বড় ভাই/আপু, ছোট ভাই/বোন অসুস্থ হলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় পথ সংগীত করে টাকা সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দেই।

টঙের গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

টঙের গানকে আমরা অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই, সেটা হোক গানের মাধ্যমে অথবা সামাজিক কাজের মাধ্যমে।আমাদের এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো। আগামীতে আমরা জলবায়ু, জেন্ডার ইকুয়েলিটি, গুজব, সামাজিক বৈষম্য নিয়ে কাজ করব।