ঢাকা২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: এক বছরে বিদ্যুৎ বিল প্রায় কোটি টাকা

মুশফিকুর রহিম স্বপন
জুলাই ২৫, ২০২২ ১১:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

২০২০-২১ অর্থবছরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ টাকা, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুনের কাছাকাছি। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তবে এ বিলকে ‘স্বাভাবিক’ বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৮৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনে ১৪ লাখ ৫০ হাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক ভবনগুলোতে ৩৪ লাখ এবং আবাসিক হলগুলোতে ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বাবদ খরচ হয়েছিল ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৫ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছে ৮৮ লাখ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এর হিসাব আমার কাছে নেই। প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মাহাবুব স্যার বলতে পারবেন।’

উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) যে বিল প্রস্তুত করে দেয় সেটি আমাদের পরিশোধ করতে হয়। এখানে বিল টেম্পারিং করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরাসরি জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পেমেন্ট করি। তাই পিডিবিরও কোনো স্বার্থ নেই।’

এত বেশি বিল অস্বাভাবিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর যখন ছোট ছিল তখন ৪-৫ লাখ টাকাও বিল এসেছিল। এখন কলেবর বেড়েছে। বেশকিছু উঁচু ভবন হয়েছে। তাছাড়া আমরা উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎসমৃদ্ধ হয়েছি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। তাই এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, হতেই পারে।

বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী’র মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বাড়ছে, সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল ও বাড়বে এটা স্বাভাবিক।
কিন্তু এখন তো দেখছি সব অস্বাভাবিক।
যাইহোক দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিদ্যুতের খরচের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখি।’