ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ তিন জনকে আটকের পর এবার মেডিকেলের এক শিক্ষককে আটক করে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফট চলাকালীন শেখ রাসেল মডেল স্কুলে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত শিক্ষক ডা. সমীর রায় খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের কে-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ৮৪৬৪৮- রোলের পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহাত আমীন রিয়াদের পরিবর্তে শেখ রাসেল মডেল স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষায় গার্ডের দায়িত্বো থাকা শিক্ষরা তাকে আটক করে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহাত আমিনের সাথে ডা. সমীর রায়ের সমকামিতার সম্পর্ক ছিলো। এ সম্পর্কের জায়গা থেকে মোহাম্মদ রাহাতের পরীক্ষায় প্রক্সি দেন ডা. সমীর। এ তথ্য সামনে আসায় ড. সমীরের পাশাপাশি মূল পরীক্ষার্থী রাহাতকেও এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে, প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জনকে আটক করে প্রত্যেককে এক বছরের কারাদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।
জনসংযোগের পাঠানো তথ্য মতে সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. এখলাসুর রহমান। তিনি ভর্তি পরীক্ষার রোল ১৭২২৮ এর পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি দেন। দ্বিতীয় জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা রোল ৬২৮২৮ এর পরীক্ষার্থী মোসা. ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়োজিদ খান ভর্তি পরীক্ষা রোল ৩৯৫৩৪ এর পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে দণ্ডিত হয়েছেন। তৃতীয় জন হচ্ছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা লোহাগড়া কালীগঞ্জের জয়নাল আবেদীনের কন্যা জান্নাতুল মেহজাবীন। সে গ্রুপ-৩ হয়ে ৬২৮২৮ রোলে মোসা. ইশরাত জাহানের পরীক্ষা দিচ্ছিলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আজ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। আটকের পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের ১ বছরের দণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’