স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৯৭৫ সালে পাক হানাদার দোসররা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনাকে আল্লাহতালা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন।
শুক্রবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্যই শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে হাল ধরেছেন। লড়াই সংগ্রাম করে দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আলোর পথে চলছে। তিনি নেতৃত্বে থাকলে দেশ আলোর পথ থেকে কখনোই বিচ্যুত হবে না।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, সামনের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দিবে তারাই নির্বাচিত হবেন। এটা একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এটাতেই বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের নেতৃত্ব বেছে নেবে।
স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব যখন ৬ দফা দিলেন তখন আমি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। আমাদের নেতারা তখন ৬ দফার মূল ভিত্তি আমাদের বোঝাতেন। এই প্রতিষ্ঠানে যদি না পড়তাম তাহলে হয়তো আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন নেতা এবং একজন মন্ত্রী হওয়ার দুর্বার গতি আমার হতো না। জগন্নাথে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমার দুর্বার গতি অব্যাহত আছে। কেউ আমাকে বাঁধা দিতে পারেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।