ঢাকা২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সব খবর

মধ্যরাতে ইবিতে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ ১১:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ২ টার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ হলকে কেন্দ্র করে পরপর ৬ টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে হল থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তারা দেশিও লাঠিসোটা, হকস্টিক সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কাউকে ফোনে পাওয়া যায় নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করার জন্য একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হামলা। আমরা ছাত্রদের নিরাপত্তা চাই এবং কেন এরকম ঘটনা ঘটলো এ বিষয়ে যদি সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকালেই পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার মহোদয় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ এখনো তাদের ইনভেস্টিগেশন করছে আমি জানি। তারা এবং আমাদের আইসিটি সেল একত্র হয়ে কাজ করেছে ঘটনা তদন্তে।

তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা যেটা বলেছে সেটাও ঠিক আমাদের লোকরা যা বলেছে সেটাও ঠিক। দিনে হলে হয়তো সাথেসাথেই যাওয়া যেত। কিন্তু রাত তিনটায় তো কাউকে ফোন দিয়ে সাথে সাথে নাও পাওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের আবেগের জায়গা একদম ঠিক। তারা আমাদের তাৎক্ষণিক ভাবে চাবেই। এতো রাতে হওয়ায় কেউই জেগে ছিলোনা।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জায়েদ বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এখনো। আশা করছি তদন্ত শেষ হলেই আমরা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানতে পারব।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ইনডিভাইজুয়ালি সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। আমরা তো ঘটনাস্থলে প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া যেতে পারিনা। আর্মি, পুলিশের সাহায্য ছাড়া আমরা কিভাবে নিরাপত্তা দেবো। বৃষ্টি আর গভীর রাতের ঘটনা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ ঘটনা স্থলে যেতে পারিনি।