রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং সারাদেশে ছাত্রলীগের অতৎপরতার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে পাঁচটি প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা থেকে মিছিল বের করেন তারা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় তাদের- ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’ ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে না, সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ন্যাশনাল কলেজেই ছাত্রলীগ আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রশাসন আদর-স্নেহ দিয়ে ছাত্রলীগকে লালন করছে। কিছুদিন আগে তারা ইবিতে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। চট্টগ্রামে আজকে আইসিউতে থাকা এক শিক্ষার্থীকে তারা হুমকি দিয়েছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো না, সারাদেশেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ নাই। তাই বিভিন্ন জায়গায় হামলা মামলা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্যর কারণেই হয়েছে। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠন হলগুলোকে মিনি ক্যান্টমেন্টে পরিণত করে। তারা শিক্ষার্থীদের আাবসিক সংকটকে পুঁজি করে সিট বাণিজ্য করে। এই সমস্যার উত্তরণের উপায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। ফ্যাসিস্ট কায়দায় তারা যে রাজত্ব কায়েম করছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ও ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলী।