রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ কর্ণার উদ্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। সোমবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার ৯২ তম জন্মবার্ষিকীর দিনে এই কর্ণার উদ্বোধন করা হয়। এ কর্ণারে: বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ও চিত্র প্রদর্শনী সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়া, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গমাতা হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শর্মিষ্ঠা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সহ বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বঙ্গমাতার বর্ণাট্য জীবনী তুলে ধরে বলেন, বাঙালি আবাহমান নারীর সত্তার শক্তি ছিলেন বঙ্গমাতা। তাঁর সাহস, সংগ্রাম ও ত্যাগ জাতির কাছে চির স্বরণীয়। বঙ্গমাতা চেতনাগত দিক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে সর্বদা এক ছিলেন। তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল অসীম। বঙ্গবন্ধুর দেশ-বিদেশে গমন ও কারাবাসের সময় একলা পরিবার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সাথে সংগ্রাম করে ধৈর্যশীলতার সর্বোচ্চ পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এমনকি বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন, তখন কর্মীদের দেখাশুনা ও খোঁজ খবর রাখতেন বঙ্গমাতা।
বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় আসলেও বিলাসিতা ত্যাগ করে সাদামাটা জীবন অতিবাহিত করার ইতিহাসের বর্ণনা দেন এ আলোচক। এছাড়া ‘৬৬ সালের ৬-দফা, ‘৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ সালের নির্বাচন ও ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগানোর পাশাপাশি বঙ্গমাতার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন এ অধ্যাপক।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন বঙ্গমাতা। আজীবন দুঃখ কষ্ট সহ্য করে জীবন অতিবাহিত করেছেন তিনি। যুদ্ধ-সংগ্রামে ভরপুর এ জীবনে বিচক্ষণতা ও চরম ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য। এছাড়া বঙ্গমাতার ত্যাগ, সংগ্রাম ও ধৈর্যশীল বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা এবং সেই মানসিকতায় জীবন পড়ার আহ্বান জানান উপাচার্য।