ঢাকা২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সব খবর

রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের বিরুদ্ধে হল ছাত্রলীগ নেতার মারধরের অভিযোগ!

bdcampus
আগস্ট ১৮, ২০২২ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল আলম শান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযোগকারী — রেজোয়ান গাজি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী মহারাজ।

 

মারধরের শিকার হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ নেতা রেজোয়ান গাজি মহারাজ

মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া মহারাজ বলেন, গতকাল রাত ৮.৩০ মিনিট পরিবহন মার্কেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর সহ-সম্পাদক হাসিবুল আলম শান্তর (ইতিহাস বিভাগ) ছোট ভাই জুয়েল রানা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ৪র্থ বর্ষ) ডেকে নি যায় কথা বলবে বলে। অতঃপর প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পশ্চিম পাশে, আগে থেকে অবস্থান নেওয়া চারজন শামিম সিকদার (ইতিহাস বিভাগ), মীম মাজেদ (ইতিহাস বিভাগ, ৩য় বর্ষ), মোশফিকুর রহমান প্রাপ্ত (ইতিহাস বিভাগ মার্স্টাস), শাকির (ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ২য় বর্ষ) সহ আমার উপর আক্রমণ করে।

হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল উল্লেখ করে মহারাজ বলেন, মীম মাজেদ এর হাতে ছিল চাকু, জুয়েল এর হাতে ছিল পিস্তল, শামিম সিকদার এর হাতে ছিল লাঠি, প্রান্ত এর হাতে ছিল রড মারামারি এক পর্যায়ে জুয়েল মেশিন ঠেকিয়ে আমার পকেটে থাকা ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়ে নেয়। এরপর আমি দৌড়িয়ে পরিবহন মার্কেটে চলে আসি। টাকাগুলো আমি গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করি।

অভিযোগকারী আরও জানান, এই মারধরের ফলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলা ও ছিনতাইয়ের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। পাশাপাশি নগরীর মতিহার থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে, ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল আলম শান্ত বলেন, আমাদের এ রকম কেউ ছিল না। আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কিছুই না।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমি মারধরের বিষয়টি শুনেছি, দেখছি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, গতকাল রাতে মারধরের বিষয়টি মুঠোফোনে ভুক্তভোগী নিজেই জানিয়েছে ৷ আমি সেই শিক্ষার্থীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। চিকিৎসা কেন্দ্রে দুজন সহকারী প্রক্টরকেও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর পূর্বেই সেই শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। পরে সে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।