তারাপদ, সে আর পাঁচটা ছেলের মতো নয়—“যে-কোনো দৃশ্য তাহার চোখের সম্মুখে আসে তাহার প্রতি তারাপদের সকৌতূহল দৃষ্টি ধাবিত হয়, যে-কোনো কাজ তাহার হাতের কাছে আসিয়া উপস্থিত হয় তাহাতেই সে আপনি আকৃষ্ট হইয়া পড়ে। তাহার দৃষ্টি তাহার হস্ত তাহার মন সর্বদাই সচল হইয়া আছে; এইজন্য সে নিত্য সচলা প্রকৃতির মতো সর্বদাই নিশ্চিন্ত উদাসীন, অথচ সর্বদাই নিরাসক্ত।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বছরের প্রথম পাঠচক্রের নির্ধারিত বিষয় ছিলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছেটগল্প “অতিথি”। ২১ জানুয়ারি (শনিবার) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাঠচক্র অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন রাবি বন্ধুসভার পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক মোঃ রায়হান হোসেন।
শুরুতে বন্ধুরা অতিথি গল্পের বিষয়বস্তু নিজেদের ভাষায় উপস্থাপন করেন। মানুষমাত্রেরই নিজের একটি স্বতন্ত্র অধিষ্ঠানভূমি আছে ; কিন্তু তারাপদ এই অনন্ত নীলাম্বরবাহী বিশ্বপ্রবাহের একটি আনন্দোজ্জ্বল তরঙ্গ –ভূত-ভবিষ্যতের সহিত তাহার কোনাে সম্বন্ধ নাই – সম্মুখাভিমুখে চলিয়া যাওয়াই তাহার একমাত্র কার্য।
পাঠচক্রে বিজয়ী হিসেবে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। আয়েশা সিদ্দিকা ১ম স্থান, শফিকুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থান এবং তুহিনূজ্জামান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
পরিশেষে সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ-এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের যবনিকা টানা হয়।
পাঠচক্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাহাদাত বাঁধন, সাংগাঠনিক সম্পাদক তুহিনূজ্জামান, অর্থ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকী সূচী, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর আল আমীন, পাঠচক্র সম্পাদক মোঃ রায়হান হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাজিদুল ইসলাম রিগেন,কার্যনির্বাহী সদস্য তহুরা খতুন, সদস্য আয়েশা, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।